বৈচিত্র্যময় ৬টি গাছ!

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৫ সময়ঃ ৬:২৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

গাছ

গাছ মানেই ছায়া। গাছ মানেই বন্ধু। চেনা বৃক্ষের দুনিয়া ছাড়িয়ে অচেনা কিছু গাছের সাথে পরিচয় হলে, বন্ধুত্বের পরিধি বাড়লে ক্ষতি কি তাতে। এই অচেনা বৃক্ষগুলোর কেউ কেউ দীর্ঘজীবি, কারো বা শরীরে রয়েছে আজব রংয়ের খেলা, আবার কারো রয়েছে ভীষণ সখ্যতা বাতাসের সাথে।

তাই আজ এমন ৬টি অদ্ভুতদর্শন এবং অবিশ্বাস্য বয়সের গাছের সাথে আমাদের পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেবার জন্যই সাজানো হয়েছে আজকের এই প্রতিবেদন।

গাছহেলানো “উইন্ডসোয়েপ্ট”

নিউজিল্যান্ডের একটি জায়গাতে বাতাসের গতি অনেক বেশি। এত বেশি যে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। তবে গাছগুলোর তাতে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।

কারণ বাতাসের এই স্বভাবের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে তারা। ভীষণ বাতাসে ডাল লতাপাতাসহ হেলে যায়, কিন্তু ভেঙে পড়ে না।

তেমনি এক হেলে পড়া মুহূর্তে একটি ‘উইন্ডসোয়েপ্ট’।

দীর্ঘজীবী “ওক”গাছ

ওক বৃক্ষটির কথা ইংরেজী সাহিত্যে নানাভাবে এসেছে। আসার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। যে দীর্ঘ আয়ু তাদের, তাতে প্রায় সব যুগের ইংরেজ সাহিত্যিকরা এই বৃক্ষটির দর্শন পেয়েছেন।

যে ওক গাছের ছবি দেখা যাচ্ছে তার বয়স কত হতে পারে সেটার আন্দাজ করা যায়?

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে ছবিতে যে গাছটি দেখা যাচ্ছে সে গাছটির বয়স ১৪০০ থেকে ১৫০০ বছর।

tree dragon“ব্লাড ড্রাগন”

ড্রাগন নাম শুনলে আত্মা খাঁচাছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়। বিশালাকার আগুনমুখের প্রাণীটিকে ভয় না পেয়ে উপায় কি? কিন্তু এ লেখা তো প্রাণীদের নিয়ে নয়, শুধুমাত্র গাছ নিয়ে।

সুতরাং’ব্লাড ড্রাগন’ নাম হলেও এটি কিন্তু কোন প্রানী নয়, এটি একটি গাছ! অনেকটা ছাতার মত দেখতে গাছটি কিন্তু সব জায়গায় দেখা যায় না।

কেবলমাত্র ভারত মহাসাগরের সকোত্রা নামের দ্বীপেই কেবল দেখা যায় এই ব্লাড ড্রাগন।

গাছ“দ্য প্রেসিডেন্ট”

১৪০০ কিংবা ১৫০০ বছরের ওক দেখে চমকে উঠেছিলেন। তাহলে ছবিটির গাছটির বয়স তবে কত?

পাক্কা ৩২০০ বছরেও জীবন্ত হয়ে দাড়িয়েছে আমেরিকার সিক্যুয়া ন্যাশনাল পার্কের এই আকাশছোঁয়া দানবাকৃতির গাছটি।

দাঁড়িয়ে থাকা এই গাছটির নাম ‘দ্য প্রেসিডেন্ট’।

গাছ“ম্যাপল”

এই গাছের মোট ১২৮ প্রজাতি আছে। কানাডার জাতীয় গাছ ম্যাপল। এর পাতার প্রতীক ঠাঁই পায় কানাডার সেনাবাহিনীর জেনারেল পদমর্যাদা সূচক ব্যাজ র‍্যাংকে।

শক্তি আর সম্মানের ‘ম্যাপল’ পাতা কানাডার পতাকার ঠিক মাঝখানে থাকে।
এমন মর্যাদা যার, তার তো বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকবেই। ম্যাপল বৃক্ষেরও আছে।

এর প্রধাণ বৈশিষ্ট্য সিঁদুরে লাল পাতা। অনেকটা আমাদের দেশীয় কৃষ্ণচূড়া ফুলের মত। জাত ভাই বললেও ভুল হবেনা।

গাছ“রেইনবো ইউক্যালিপ্টাস”

প্রকৃতি যে কত বিচিত্র বৃক্ষ সম্ভার নিয়ে মানুষের মন রাঙাতে প্রস্তুত তা এই গাছটি দেখলে বোঝা যায়।

রংধনুর সাতটি রংয়ের মতোই বিভিন্ন রংয়ে গাছটির দেহ আবৃত হয়ে আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে গেলেই দেখা মিলবে দৃষ্টিনন্দন এই গাছের।

প্রতিক্ষণ/এডি/তাফ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G